ক্রন্দনরতা জননীর পাশে কবিতার বড়ো প্রশ্ন উত্তর

                      ক্রন্দনরতা জননীর পাশে 

                                                                                                                                              মৃদুল দাশগুপ্ত


প্রশ্ন ✍️ "কেন তবে লেখা , কেন গান গাওয়া, কেন তবে আঁকাআঁকি।"- শিল্প সাহিত্য চর্চা বিষয়ে কবির মনে কেন এমন প্রশ্ন জেগেছে ? আলোচ্য কবিতায় একজন সমাজ সচেতন সংবেদনশীল কবির যে পরিচয় পাওয়া যায় তা নিজের ভাষায় লেখ। ২+৩=৫


উঃ- সাহিত্য হল সমাজের প্রধান অঙ্গ । সমাজকে বাদ দিয়ে সাহিত্য সৃষ্টি হতে পারে না । কবি মৃদুল দাশগুপ্ত তাঁর 'ক্রন্দনরতা জননীর পাশে' কবিতায় সামাজিক অবক্ষয়ের এক অনবদ্য চিত্র তুলে ধরেছেন । সমাজে ঘটে যাওয়া অজস্র ঘটনাপ্রবাহকে তিনি নিজের মতো করে রূপ দিয়েছেন । জন্মদাত্রী জননীর দুঃখের দিনে কবি যদি নীরবে থাকেন তাহলে নিচের সাহিত্যচর্চার প্রতি নিজের মনেই প্রশ্ন জাগতে শুরু করবে বলে তিনি মনে করছেন।


      কবি মৃদুল দাশগুপ্ত ছিলেন একজন সমাজ সচেতন সংবেদনশীল কবি । স্বদেশের প্রতি, সমাজের প্রতি, জন্মভূমির প্রতি দায়বদ্ধ কবি অত্যাচারিত, শোষিত, সাধারণ মানুষের সঙ্গে একাত্ম হয়ে গেছেন। আর সেকারণেই নিহত শহীদদেরা হন তাঁর ভাই-বোন ।  এই ভাইদের মৃতদেহ দেখে স্বাভাবিকভাবেই কবির মনে ক্রোধের সঞ্চার হয় । মানুষের প্রতি ভালোবাসা, দায়বদ্ধতা ও মূল্যবোধ‌ই হল এই ক্রোধের উৎস। নিখোঁজ বোনের ছিন্নভিন্ন শরীর যখন জঙ্গলে পাওয়া যায় তখন কবিতার মাধ্যমেই নিজের বিবেককে কবি জাগিয়ে তুলতে চান। মৃত্যু আর নরকীয় অত্যাচার প্রতিনিয়ত কবির দেশমাতাকে করে তোলে ক্রন্দনরতা জননী। কবি চান তাঁর ক্রন্দনরতা জননীর পাশে দাঁড়াতে । এই পাশে দাঁড়ানো আসলে সেই দায়বদ্ধতা যা সমাজ সচেতন সংবেদনশীল কবি, শিল্পীর কাছেই প্রত্যাশিত ।


                                   ( নৃপেন স্যার )


ভাত গল্প অবলম্বনে বড়ো পিসিমা চরিত্রটি আলোচনা কর।এখানে ক্লিক করো


বাংলা চলচ্চিত্রে ঋত্বিক ঘটকের অবদান আলোচনা করো। 












Post a Comment

1 Comments